|| মহিষাসুরমর্দিনী ||
আজ এক বিশেষ ভোর,
যে ভোরের অপেক্ষায় আমরা বাঙালিরা
মুখিয়ে থাকি,
কবে আসবে সেই ভোর, যে ভোরে আকাশ বাতাস ভোরে উঠবে আগমনি গানে, আর সেই অমলিন চিরদিনের সেই বিরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বরে
'মহিষাসুরমর্দিনী'।
আলেখ্যটি রচনা ও প্রবর্তনা বাণীকুমার যার আসল নাম বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য।
সঙ্গীত সৃজন পঙ্কজকুমার মল্লিক।
গ্রন্থনা ও স্তোত্রপাঠ বিরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র।
===============
মহিষাসুরমর্দ্দিনী/মহিষাসুরমর্দিনী
আগে লেখা হতো মহিষাসুরমর্দ্দিনী
বর্তমানে লেখা হয় মহিষাসুরমর্দিনী
মহালয়া উপলক্ষ্যে 'মহিষাসুরমর্দিনী' হল আকাশবাণী কলকাতার এক বিশেষ প্রভাতী বেতার অনুষ্ঠান।
যে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দ আর সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানটি প্রতিবছর মহালয়ার দিন ভোরে সম্প্রচারিত হয়ে আসছে।
পৃথিবীর বেতার ইতিহাসে দীর্ঘতমকাল ধরে সম্প্রচারিত একটি স্থায়ী বেতার অনুষ্ঠান। দেড় ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানে শ্রীশ্রীচণ্ডী বা দুর্গা সপ্তশতী থেকে গৃহীত দেবী চণ্ডীর স্তোত্র বা চণ্ডীপাঠ সাথে বাংলা ভক্তিগীতি, ধ্রুপদী সঙ্গীত এবং পৌরাণিক কাহিনির নাট্যরূপ।
প্রথমদিকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হত, কিন্তু ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে রেকর্ড করা পূর্বের অনুষ্ঠানই শোনানো হয়। এই অনুষ্ঠানটি এতটাই জনপ্রিয়তা পায় যে, প্রায় ৯২ বছর পর আজও এর জনপ্রিয়তা তথা মহিমায় বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি।
অনুষ্ঠানটির সময় ১ ঘণ্টা ২৯ মিনিট
প্রচারতরঙ্গ আকাশবাণী কলকাতা
রচনা ও প্রবর্তনা:-- বাণীকুমার।
(যার আসল নাম বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য।)
সঙ্গীত পরিচালনা :-পঙ্কজ কুমার মল্লিক।
গ্রন্থনা ও শ্লোকপাঠ:--বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র।
প্রযোজক:-আকাশবাণী কলকাতা
বর্ণনা করেছেন:;-বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র
রেকর্ডিং স্টুডিও:- ১ নং গার্স্টিন প্লেস, কলকাতা
(জাগো দুর্গা দশপ্রহরণধারিণী):-দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় ।
(তব অচিন্ত্য):--মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় ।
(শান্তি দিলে ভরি )::-সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, আরতি মুখার্জী, উৎপলা সেন
(শুভ্র শঙ্খ-রবে) ::--শ্যামল মিত্র।
(বাজলো তোমার আলোর বেণু):-
সুপ্রীতি ঘোষ।
শাঁখে তিনবার ফুঁ দেওয়া:: মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
অন্যান্য
=============
শিল্পী::----
বাণীকুমার ―
রচনা ও প্রবর্তনা:-
পঙ্কজ কুমার মল্লিক ― সংগীত-পরিচালনা
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র ― গ্রন্থনা ও শ্লোকপাঠ
গান ও গায়ক
সম্পাদনা
যা চণ্ডী মধুকৈটভাদি ― সমবেত কণ্ঠ
সিংহস্থা শশিশেখরা ― সমবেত কণ্ঠ
বাজলো তোমার আলোর বেণু ― সুপ্রীতি ঘোষ
জাগো দুর্গা দশপ্রহরণধারিণী ― দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়
ওগো আমার আগমনী-আলো ― শিপ্রা বসু
তব অচিন্ত্য রূপ-চরিত-মহিমা ― মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়
অহং রুদ্রেভির্বসুভিশ্চরা ― সমবেত কণ্ঠ
অখিল-বিমানে তব জয়-গানে ― কৃষ্ণা দাশগুপ্ত
জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ― সমবেত কণ্ঠ
শুভ্র শঙ্খ-রবে ― শ্যামল মিত্র, অসীমা ভট্টাচার্য, আরতি মুখোপাধ্যায় ও অন্যান্য
জটাজুটসমাযুক্তামর্দ্ধেন্দুকৃতশেখরাম ― সমবেত কণ্ঠ
নমো চণ্ডী, নমো চণ্ডী ― বিমলভূষণ
মাগো তব বিনে সঙ্গীত প্রেম-ললিত ― সুমিত্রা সেন
বিমানে বিমানে আলোকের গানে ― গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
জয় জয় জপ্যজয়ে ― সমবেত কণ্ঠ
হে চিন্ময়ী ― তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
অমল-কিরণে ত্রিভুবন-মনোহারিণী ― প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়
জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ― পঙ্কজ কুমার মল্লিক ও অন্যান্য
শান্তি দিলে ভরি ― উৎপলা সেন
অন্যান্য সঙ্গীতশিল্পীরা ছিলেন ― অরুণকৃষ্ণ ঘোষ, ধীরেন বসু, রবীন ব্যানার্জী এবং ইলা বসু।