Tuesday, September 7, 2021

20>||পঞ্চমুখী হনুমানের রহস্য----

   20>||পঞ্চমুখী হনুমানের রহস্য----


রামভক্ত হনুমানের পাঁচটি মুখ। বিপদতারণ হনুমানের এই পঞ্চমুখের পিছনে আছে রামায়ণের কাহিনীর মধ্যে একটি আকর্ষনীয় কাহিনী যা জড়িয়ে আছে রাম-রাবণের যুদ্ধের সঙ্গে।


রামের বিরুদ্ধে জয়ী হতে রাবণ সাহায্য চান মহীরাবণ এবং অভিরাবণের। তাঁরা দুজনেই ছিলেন লঙ্কারাজ রাবণের ভাই, পাতালের শাসক। মহীরাবণ রূপ ধারণ করেন বিভীষণের, আসেন রাম-লক্ষ্মণের কাছে। দুজনকে অপহরণ করে নিয়ে যান পাতালে। 


রাম-রামানুজকে খুঁজতে হনুমান যান পাতালে। গিয়ে দেখেন দ্বারে প্রহরায় আছেন মকরধ্বজ। এই মকরধ্বজের জন্ম নিয়েও আছে আরো এক কাহিনী। রামায়ণ অনুযায়ী মকরধ্বজের জন্মের পিছনে হনুমানের অবদান আছে।


স্বর্ণলঙ্কায় অগ্নিকাণ্ডের পরে লেজের আগুন নেভাতে হনুমান লেজ চুবিয়েছিলেন সমুদ্রের জলে। তখন তাঁর এক ফোঁটা ঘাম থেকে মকরধ্বজের জন্ম। তাই‚ মকরধ্বজ হনুমানকে নিজের পিতা ভাবতেন।


পাতালের প্রবেশপথে মকরধ্বজকে দেখে হনুমান নিজের পরিচয় তাঁকে দেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে প্রণাম করে পথ ছেড়ে দেন মকরধ্বজ।


হনুমান পাতালে প্রবেশ করে দেখেন মহীরাবণ এবং অভিরাবণকে বিনাশ করতে হলে পাঁচটি দীপ নেভাতে হবে। তাদের মুখ আবার পাঁচদিকে। তাই‚ হনুমান পাঁচটি মুখ ধারণ করলেন।


একটি মুখ হল বরাহ-মুখের মতো, সেই মুখটি থাকল উত্তরদিকে। নরসিংহের মতো দেখতে মুখ থাকল দক্ষিণ দিকে। গরুড়রূপী মুখ থাকল পশ্চিমে। হয়গ্রীবা মুখ হল আকাশমুখী। আর‚ হনুমানের নিজস্ব মুখ থাকল পূর্বমুখী হয়ে।


এই পঞ্চমুখ নিয়ে পাতালে প্রবেশ করে হনুমান পাঁচদিকে ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে দিলেন পাঁচটি দীপ। তারপর বিনাশ হল মহীরাবণের। উদ্ধার পেলেন রাম-লক্ষ্মণ। রামচন্দ্রের নির্দেশে পাতালের শাসক হলেন মকরধ্বজ। তাঁকে দায়িত্ব অর্পণ করলেন হনুমান।


এইভাবে‚ রামচন্দ্রের সেবায় পঞ্চমুখের অধিকারী হন ভক্ত হনুমান।


 পবনপুত্র হনুমান কি জয়।

            জয় হনুমান 

                  ( সংগ্রহ)