Sunday, November 13, 2016

15>"উত্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য বরান্ নিবোধত "

15>|| "উত্তিষ্ঠত জাগ্রত  প্রাপ্য বরান্ নিবোধত "

"উত্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য বরান্ নিবোধত” : স্বামী বিবেকানন্দের বাণী


উত্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য বরান্ নিবোধত।
ক্ষুরস্য ধারা নিশিতা দুরত্যয়া দুর্গম পথস্তত  কবয়ো বদন্তি ।।
কঠোপনিষৎ ৩/১৪

ওঠো,জাগো,সদগুরুর সান্নিধ্যে গিয়া
জ্ঞানপ্রাপ্ত ( আত্মজ্ঞান ) হও।

এইপথ অতিদুর্গম, ক্ষুরের ধারের মত তীক্ষ্ণ, দূরতিক্রম্য, জ্ঞানীগণ এমনি বলেন
 ( কবয়ো বদন্তি)
স্বামীজী এই শ্লোকটি পছন্দ করতেন এবং Arise awake ----বলে বার বার এটিকেই স্বরণ করিয়ে দিতেন।

সরলার্থ:---
"হে সংসার সন্তপ্ত মানবগণ, তোমরা ওঠো, আত্মজ্ঞানলাভে সর্বতোভাবে প্রযত্ন কর । জাগো, অজ্ঞানরূপ মোহনিদ্রা পরিত্যাগ কর। 
বরনীয় জ্ঞানীদের কাছে জ্ঞানপ্রাপ্ত হও,
তাঁদের সমীপে গমন পূর্বক তাঁদের উপদেশ অনুসারে স্ব স্ব জীবন গঠনপূর্বক নিশ্চিতরূপে আত্মতত্ত্ব অবগত হও॥"

মানুষ ছেলেবেলা হইতে শিক্ষা পায় যে, সে দুর্বল ও পাপী। জগৎ এইরূপ শিক্ষা দ্বারা দিন দিন দুর্বল হইতে দুর্বলতর হইয়াছে; তাহাদিগকে শিখাও যে, তাহারা সকলেই সেই অমৃতের সন্তান—এমনকি যাহাদের ভিতরে আত্মার প্রকাশ অতি ক্ষীণ, তাহাদিগকেও উহা শিখাও । বাল্যকাল হইতেই তাহাদের মস্তিষ্কে এমন সকল চিন্তা প্রবেশ করুক, যাহা তাহাদিগকে যথার্থ সাহায্য করিবে, যাহা তাহাদিগকে সবল করিবে, যাহাতে তাহাদের যথার্থ কল্যাণ হইবে। দুর্বলতা ও কর্মশক্তিলোপকারী চিন্তা যেন তাহাদের মস্তিষ্কে প্রবেশ না করে। সৎ-চিন্তার স্রোতে গা ঢালিয়া দাও, নিজের মনকে সর্বদা বল—”আমি সেই, আমিই সেই” ; তোমার মনে দিনরাত্রি ইহা সঙ্গীতের মতো বাজিতে থাকুক, আর মৃত্যুর সময়েও “সোহহং, সোহহং” বলিয়া দেহত্যাগ কর । ইহাই সত্য… জগতের অনন্ত শক্তি তোমার ভিতরে যে কুসংস্কার তোমার মনকে আবৃত রাখিয়াছে, তাহা দূর করিয়া দাও। সাহসী হও । সত্যকে জানিয়া তাহা জীবনে পরিণত কর; চরম লক্ষ্য অনেক দূর হইতে পারে, কিন্তু “উত্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য বরান্ নিবোধত” ।।


কঠোপনিষদ ২০

   'উত্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য বরান নিবোধত
        ক্ষুরস্য ধারা নিশিতা  ...'
   স্বামী বিবেকানন্দ এই মন্ত্রটি এযুগে বিখ্যাত করেছেন। তিনি বললেন, যমদেবেরই কথা, 'ওঠো, জাগো। বরনীয় জ্ঞানীদের কাছে গিয়ে জ্ঞানপ্রাপ্ত হও। 
এই পথ অতি দুর্গম, ক্ষুরের ধারের মতো তীক্ষ্ণ, দুরতিক্রম্য। জ্ঞানী গণ এমনই বলে থাকেন।
     উপনিষদের এই মন্ত্রটির যে অনুবাদ প্রচলিত আছে, সেটির সম্পর্কে একটু আলোচনা করে নিতে হবে।
বলা হল, ওঠো এবং জাগো।
এখন প্রশ্ন হল দুট,
  ১। কোথা থেকে উঠবে ? কোথা থেকে জাগবে ? এবং
  ২। আগে উঠবে, পরে জাগবে ? তা কি হয়  ?
  আমরা বলব,
  ১। অবিদ্যাতে সম্পৃক্ত জীবাত্মা যেন মোহনিদ্রায় আছে । সেখান থেকে উঠবে । অজ্ঞান নিদ্রা থেকে জাগ্রত হবে ।
  ২। নিদ্রা ভাঙ্গলেও কতক সময় ঘোর লেগে থাকে। অনেক সময় পুনরায় নিদ্রা এসে যায়। তাই যমরাজ বলছেন, ওঠো এবং সজাগ হও। আর যেন তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ো না।
      'বরান্‌' -এই শব্দটির অর্থ নিয়েও আমাদের কিছু কথা আছে। বলা হচ্ছে 'বরনীয় জ্ঞানীদের কাছে জ্ঞানপ্রাপ্ত হও'।
   আমরা বলতে চাই, 'নর' শব্দরূপেরর মতন 'বর' শব্দটির দ্বিতীয়ার বহুবচণ হল, 'বরান্‌'। অর্থ হল, 'বর-কে'। কর্ম-কারক। বর পাওয়া যায়, বা পাওয়া হয়েছে দেবতাদের থেকে। এই যে দেবতাদের থেকে মর্ত্য-বাসী মানবকুল (মনুর প্রজাগণ) যে সকল বরদান লাভ করেছে। যেমন এই যে নচিকেতা-কে যমরাজ, 'অগ্নিবিদ্যা' এবং 'আত্মজ্ঞান'' শিক্ষা দিলেন।
   তাহলে অর্থ কি দাড়াল ?
  'ওঠো, সজাগ বা সচেতন হও। দেবতাদের থেকে যে সকল বর লাভ করা গেছে, সে গুলিতে আত্মনিয়োগ কর'।

১৫। এর পরেই যমদেব বললেন, শব্দ-গন্ধ-রূপ-রস-স্পর্শের অতীত এই অনাদি অবিনাশী নিত্য ধ্রুব পরমাত্মাকে জেনে মৃত্যুমুখ থেকে মুক্ত হও।


মহাভারত শ্লোক:::----

অহন্যহনি ভূতানি গচ্ছন্তি যমমন্দিরম্ । শেষাঃ স্থিরত্বমিচ্ছন্তি কিমাশ্চর্য্যমতঃপরম্ ।। - প্রত্যহ শতশত জীব যমালয়ে যাচ্ছে দেখেও আমরা নিজেদের মৃত্যুর কথা ভাবছি না, এটা যুধিষ্ঠির কেন, আমার কাছেও আশ্চর্যজনক । কতো বিবর্তনের মধ্য দিয়ে কতো কর্মফল পার হয়ে এই মানব জনম । অথচ ভোগ এবং আরও আরও ভোগের প্রচেষ্টা ছাড়া কিছুই তো নজরে আসছে না । আর সেই ভোগের উপাচার জোটাতে মিথ্যা, ছলনা ও অনধিকার কার্যাবলী । ক্রমাগত বেশি বেশি প্রারব্ধের সঞ্চয় । আরও বেশি করে কর্মফল ভোগের বন্দোবস্ত ।  এই করতেই কি এসেছিলাম । হে অন্তরতম প্রভূ, সঠিক কর্ম করিয়ে নাও ।
========================


-"-Uttishthata, Jaagrata,
      Praapya Varaan Nibodhata
!"

      "Arise ! Awake ! Stop Not
        Till The Goal Is Reached !"

  Here are 5 of Swami Vivekananda's most inspiring quotes, that stand true even today.

1> "Who is helping you, don't forget them. Who is loving you, don't hate them. Who is believing you,  don't cheat them."
2> "Anything that makes you weak physically, intellectually and spiritually, reject as poison."
3>"Relationships are more important than life, but it is important for those relationships to have life in them."
4>"Like me or hate me, both are in my favor. If you like me I am in your heart, if you hate me I am in your mind."
5>"Fill the brain with high thoughts, highest ideals, place them day and night before you, and out of that will come great work."

---------------------------
💗 তিনি নিম্নলিখিতভাবে বেদান্তের শিক্ষাসমূহের সারসংক্ষেপ করেন,
• প্রত্যেক আত্মাই সম্ভাব্যরুপে ঐশ্বরিক/দেবসুলভ।
• লক্ষ্য হচ্ছে বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণের দ্বারা এ দেবত্বকে সুষ্পষ্টভাবে দেখানো।
• কর্ম, বা পূজা, বা মন নিয়ন্ত্রণ, বা দর্শন - একটির দ্বারা, বা অধিকের দ্বারা, বা এ সকলগুলির দ্বারা এটি কর - এবং মুক্ত হ্‌ও।
• এটি হচ্ছে ধর্মের সমগ্রতা। মতবাদ, বা গোঁড়া মতবাদ, বা ধর্মীয় আচার, বা গ্রন্থ, বা মন্দির, বা মূর্তি হচ্ছে গৌণ খুঁটিনাটি বিষয় ছাড়া কিছুই নয়।
• যতক্ষণ পর্যন্ত আমার দেশের একটি কুকুরও ক্ষুধার্ত, আমার সমগ্র ধর্মকে একে খাওয়াতে হবে এবং এর সেবা করতে হবে, তা না করে অন্য যাই করা হোক না কেন তার সবই অধার্মিক।
• জেগে ওঠো, সচেতন হও এবং লক্ষ্যে না পৌঁছা পর্যন্ত থেমো না।
• শিক্ষা হচ্ছে মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যে থাকা উৎকর্ষের প্রকাশ।
• ধর্ম হচ্ছে মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যে থাকা দেবত্বের প্রকাশ।
• মানুষের সেবা করা হচ্ছে ঈশ্বরের সেবা করা।

🌹💗  ALL POWER IS WITHIN YOU,
         YOU CAN DO ANYTHING AND EVERYTHING,

🌹💗   Nothing is IMPOSSIBLE
            every thing is POSSIBLE
           If the WAY OF DOING IS CORRECT"


💗🌹" Personal Morality Is The Key To Influence Others!" 🌹💗

💗🌹💗 "চরিত্রই বাধাবিঘ্নরূপ বজ্রদৃঢ় প্রাচীরের মধ্য দিয়া পথ করিয়া লইতে পারে।"💗🌹💗
ভালবাসায় সব হয়। টাকা পয়সা, নাম যশ, বিদ্যা, কোনটাতেই কিছু হায়না,

ভালবাসায় সব হয়।
আবশ্যক কেবল প্রেম, সরলতা, ও সহিষ্ণুতা, ভালবাসায় সব হয়, প্রেমই জীবন।
-----------------------

                   💗🌹💗---Swami Vivekananda---💗🌹💗
===================================




‘उत्तिष्ठत जाग्रत …’ – कठोपनिषद् का उपदेशात्मक वचन
स्वामी विवेकानंद के उपदेशात्मक वचनों में एक सूत्रवाक्य विख्यात है । वे कहते थे:
“उत्तिष्ठत जाग्रत प्राप्य वरान्निबोधत ।”

इस वचन के माध्यम से उन्होंने छात्र समाज को अज्ञानजन्य अंधकार से बाहर निकलकर ज्ञानार्जन की प्रेरणा दी थी । कदाचित् अंधकार से उनका तात्पर्य अंधविश्वासों, विकृत रूढ़ियों, अशिक्षा एवं अकर्मण्यता की अवस्था से था । वे चाहते थे कि अपने देशवासी समाज के समक्ष उपस्थित विभिन्न समस्याओं के प्रति सचेत हों और उनके निराकरण का मार्ग खोजें । स्वामीजी इस कथन के महत्त्व को कदाचित् ऐहिक जीवन के संदर्भ देखते थे ।


   कठोपनिषद्-------
उत्तिष्ठत जाग्रत प्राप्य वरान्निबोधत ।
क्षुरस्य धारा निशिता दुरत्यया दुर्गं पथस्तत्कवयो वदन्ति ।।-----कठोपनिषद्, 
(उत्तिष्ठत, जाग्रत, वरान् प्राप्य निबोधत । क्षुरस्य निशिता धारा (यथा) दुरत्यया (तथा एव आत्मज्ञानस्य) तत् पथः दुर्गं (इति) कवयः वदन्ति ।)
                 


 अर्थ ::-- उठो, जागो, और जानकार श्रेष्ठ पुरुषों के सान्निध्य में ज्ञान प्राप्त करो । विद्वान् मनीषी जनों का कहना है कि ज्ञान प्राप्ति का मार्ग उसी प्रकार दुर्गम है जिस प्रकार छुरे के पैना किये गये धार पर चलना ।

कठोपनिषद् में गौतम ऋषि के पुत्र नचिकेता का मृत्युदेवता यम के साथ संवाद का 
विवरण है।
 नचिकेता को यम सृष्टि के अंतिम सत्य परमात्मतत्त्व के बारे में बताते हैं । 
उक्त मंत्र में यम द्वारा ऋषिकुमार को परमात्मा के अंशभूत आत्मा का ज्ञान पाने का उपदेश निहित है । स्पष्ट है कि प्रकरण आध्यात्मिक ज्ञानार्जन से संबंधित है न कि भौतिक स्तर के ऐहिक अर्थात् लौकिक विद्यार्जन से । किंतु स्वामी विवेकानंद ने मंत्र के आरंभिक अंश को लौकिक अर्थ में प्रयोग किया है । वस्तुतः उपनिषदों में लौकिक उपयोग की सामान्य विद्या को महत्त्व न दिया गया हो ऐसा नहीं है । इस बात पर चर्चा फिर कभी ।

वैदिक चिंतकों की दृष्टि में मनुष्य देह भौतिक तत्त्वों से बना है, परंतु उसमें निहित चेतना शक्ति का स्रोत आत्मा है । आधुनिक वैज्ञानिक चिंतन आत्मा के अस्तित्व के बारे में सुनिश्चित धारणा नहीं बना सका है । कदाचित् कई विज्ञानी कहेंगे कि आत्मा-परमात्मा जैसी कोई चीज होती ही नहीं है । तत्संबंधित सत्य वास्तव में क्या है यह रहस्यमय है, अज्ञात है । –
========================